১৯৬৫ সালে ডেল্ ওয়াসরম্যান মিগ্যেল দি সর্ভান্টিসের বিশ্ববরেণ্য ক্লাসিক ডন কিহ্যোতে অবলম্বনে রচনা করেন ব্রডওয়ের জন্য একটি musical, নাম দেন ম্যান অফ লা মাঞ্চা, যা আজ একটি বিশিষ্ট ব্রডওয়ে প্রযোজনা হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯৪ সালে চেতনার প্রাণপুরুষ অরুণ মুখোপাধ্যায় (যিনি বর্তমান প্রযোজনাটিতেও কাজ করেছেন) ওয়াসরম্যানের musical’এর অনুবাদ করেন দুখীমুখী যোদ্ধা নাম দিয়ে; দুর্ভাগ্য, বর্তমান সমালোচকের দুখীমুখী যোদ্ধা দেখা হয়ে ওঠেনি। চেতনার নবতম প্রযোজনা, ডন – তাকে ভালো লাগে, নির্দেশক সুজন মুখোপাধ্যায় তৈরী করেছেন দুখীমুখী যোদ্ধা পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে। নাটকটি কিছু আলোচনা দাবী করে।
Previous Kaahon Theatre Review:
Kaahon Theatre Review
ART- An Experiment on Performance Space in Theatre
Read this review in English: https://t.co/OUbGQTSwnI#bengalitheatre | #theatre | #theatrereview | #kaahontheatrereview | #KaahonPerformingArts https://t.co/0VZKlxcECy
— kaahon (@kaahonwall) May 26, 2018
প্রথমত, আমরা খেয়াল করি ডন – তাকে ভালো লাগে নাটকটি ম্যান অফ লা মাঞ্চা’র একটি অত্যন্ত বিশ্বস্ত অনুবাদ। শুধু যে ‘নাটকের মধ্যে নাটক’ ব্যাপারটা, বা musical’এর ফর্মটা, বা আখ্যানের গঠনটা মাথায় রেখে এই বিশ্বস্ততার কথা বলা হচ্ছে তা নয়; প্রায় দাবীর আকারে বলা যায় বাংলা নাটকটি ইংরেজি নাটকটির বাক্যের পর বাক্য অটল একনিষ্ঠতার সাথে অনুবাদ করেছে। যারা ডন (মন দিয়ে) দেখেছেন, তাদের স্মৃতিতে থাকা একটি (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ) সংলাপ যদি তারা এই ইংরেজি সংলাপের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন, তাহলে এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট হবে বিশ্বস্ততার মাত্রাটা বুঝতে (যারা পরে ডন দেখবেন তারা এই ইংরেজি উদ্ধৃতিটি মাথায় রেখে দেখতে পারেন) – “I have been a soldier and seen my comrades die in battle… These were men who saw life as it is, yet they died despairing. No glory, no gallant last words…only their eyes were filled with confusion, whimpering the question: “Why?” I do not think they asked why they were dying, but why they had lived.” বিশ্বস্ততার বিষয়টার ওপর এত জোর দেওয়া হচ্ছে কেন তা পরিষ্কার হবে পরে, যখন এই লেখাটি নজর দেবে অভিনয় রীতির বিষয়টিতে।
দ্বিতীয়ত, যে জায়গায়ডন নাটকটিলা মাঞ্চা’র থেকে আলাদা, সেটা হচ্ছে এই নাটকে এসেছে ভারতের সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক কিছু ঘটনার ও বাতাবরণের প্রসঙ্গ, শুভময় দত্ত (অভিনয়ে, সুমন মুখোপাধ্যায়) চরিত্রটির মধ্য দিয়ে। লা মাঞ্চা’য় শুভময় দত্ত’র চরিত্রটির প্রতিরূপ সর্ভান্টিস নিজে, ওয়াসরম্যান যাকে একটি নাটকের চরিত্র বানিয়ে দিয়েছেন। ওয়াসরম্যানের কল্পনায় লা মাঞ্চা’র কিহ্যোতে নিছক একটি মানুষ নয়, সে একটি জীবনবোধ, জীবনদর্শন ও যাপনের প্রতীক; সহজ করে বললে সে হচ্ছে একটি আইডিয়া। ডন নাটকেও কিহ্যোতে একটি আইডিয়া, যা বলে অসম্ভবকে অসম্ভব হিসেবে চিনেও তাকে আঁকড়ে ধরাই হচ্ছে জীবন। ডন নাটকে খুব পরিস্কারভাবে শুভময় দত্ত এবং কিহ্যোতেকে মিশিয়ে দেওয়া হয়, একাত্ম করা হয় (ওয়াসরম্যানের নাটকে যেমন সর্ভান্টিস ও কিহ্যোতেকে) এবং এই মেলানোটা যেহেতু ঘটে একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে, তা আমাদের ভাবায়। শুভময় একজন কবি, লেখক, নাট্যকার যাকে তার একজন সহকর্মী, সত্যজিৎ মিশ্র’র (অভিনয়ে, সতীশ সাউ) সাথে জেলে বন্দী করা হয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য; সেই জেলে আগে থেকেই আছে অন্য অনেক বন্দী; এবং আসল বিচার শুরু হওয়ার আগে একটি ছদ্ম বিচার সভা বসায় বন্দীরা, যেখানে তার আত্মপক্ষ সমর্থন করার পন্থা হিসেবে শুভময় ডন কিহ্যোতেকে কেন্দ্র করে একটি নাটকের অবতারণা করে (এটাই নাটকের ভেতরে নাটক), যেখানে অন্যান্য বন্দীরাও অভিনেতা। শুভময়ের মাধ্যমে দাভোলকার, কালবুর্গি, লঙ্কেশ এই নামগুলো যেভাবে শুধুমাত্র রেফারেন্সের জন্য ব্যবহার করা হয়– তাদের কাজের, তাদের রাজনীতির, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে তাদের কাজের প্রভাবের বিন্দুমাত্র উল্লেখ না করে – তাতে মনে হয় নাটক পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের বক্সে টিক্ মারতে যতটা আগ্রহী, ততটা আগ্রহী নয় রাজনীতির গভীরে প্রবিষ্ট হতে। তাছাড়া, শুভময় দত্ত এবং প্রসারে দাভোলকার, কালবুর্গি, লঙ্কেশ এরা সবাই যখন কিহ্যোতে, তখন ডন নাটক এদের রাজনীতি নিয়ে কী একধরণের দোদুল্যমান অবস্থান প্রকাশ করে না? মানে, দৈত্যাকার রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে নামাটা একলা মানুষ কিহ্যোতের বৃহৎ হাওয়াকলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মত করে দেখলে তা দুরন্ত রোমান্টিক ও উদ্দীপক লাগে ঠিকই, কিন্তু এই মেলানোটা কোথাও যেন রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শেষ পরিণতিটাও নির্দিষ্ট করে দেয়। মনে হয় খুব সরাসরিভাবে দাভোলকার, কালবুর্গি, লঙ্কেশের নির্দিষ্টে না ঢুকে, শুভময় দত্ত/কিহ্যোতের মাধ্যমে অসম লড়াই চালিয়ে যাওয়ার, অসম্ভব স্বপ্ন দেখার সার্বত্রিক ব্যাপ্তিতে থাকলে শুধুমাত্র ‘life as it should be’ই দেখা যেত, life as it is দেখতে হত না।
আসি নাট্যের কথায়। যেহেতু ডন একটি musical, এখানে গান আখ্যানকে এগিয়ে নিয়ে যায়, গান নাটকের মূল বিষয়কে ধারণ করে থাকে, গান নাট্যমুহূর্তের মেজাজ তৈরী করে দেয়। যারা গান গেয়েছেন তারা সকলেই যে সমান দক্ষতায় সুরে, তালে সবসময় স্থিত ছিলেন তা নয়, তবে নাট্যের গান যেহেতু অনুষ্ঠানের গান নয়, তাই কিছু ক্ষেত্রের ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে ভাবিত হওয়ার বিশেষ কিছু নেই, কারণ নাট্যের চলা তাতে রুদ্ধ হয় না। সংলাপ থেকে গানে আর গান থেকে সংলাপে যাওয়া আসাটা সকলেই যারা গান গেয়েছেন অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পাদন করেছেন।ডন নাট্যের সঙ্গীত (সঙ্গীত, প্রবুদ্ধ ব্যানার্জি) যেমন ব্যবহার করেছে পাশ্চাত্যের ফ্লেমেঙ্কো ও রক, তেমনই ব্যবহার করেছে কীর্তন, টপ্পা, রবীন্দ্রসঙ্গীত, কবীর সুমনের গান। এই নানা দেশ, কাল, সংস্কৃতিকে ছুঁয়ে থাকা সঙ্গীত নাট্যে আনে ভরাট শাব্দিক প্রাচুর্য, কিন্তু পাশাপাশি একটা সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলে। সেটা হচ্ছে এই যে গানের যেহেতু প্রায়শই একটি ভূগোল ও সময়কাল থাকে, এই নাট্যের সঙ্গীত কেবল মধ্যযুগের স্পেন নয়, নানা দেশে, নানা সময়ে নিয়ে চলে যায় আমাদের। নাট্যের sound’এর প্রসঙ্গে কটি কথা – এই নাট্যে লাইভ মিউজিক বেজেছে, রেকর্ড করা শব্দ এসেছে, খালি গলায় ও লেপল্ ব্যবহার করে গান গাওয়া, কথা বলা হয়েছে; খুব সহজেই ভীষণ uneven হয়ে শব্দ দর্শকের কানে পৌঁছাতে পারত; খানিকটা যে তা হয়নি তা নয়, তবে যিনি শব্দ প্রক্ষেপণ করেছেন তার নৈপুণ্য নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। একজন অভিনেতা যখন লেপল্ পান (সুমন), তখন তিনি যেমন অন্যান্যদের তুলনায় বাড়তি একধরণের যান্ত্রিক সুবিধা ভোগ করেন, তেমনই তিনি বাধ্য হন তার বাচিকে একটাই স্তিমিত স্বরগ্রামে নিজেকে আটকে রাখতে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যে কিছুক্ষণ লেপল্ কাজ করেনি (২২.০৫.২০১৮, একাডেমি), তখন সুমনের স্বাভাবিক কন্ঠ কানে আরামই দিয়েছে।
বহু চরিত্র-সম্বলিত এই নাট্যে যারা কাজ করেছেন, তা সে যত ছোট পার্শ্ব চরিত্রেই হোক না কেন, তাদের প্রত্যেকের অভিনয়ে অনুশীলনের ছাপ সুস্পষ্ট। নিবেদিতা মুখোপাধ্যায় (আল্ডোঞ্জা/ডালসিনিয়া) চওড়া দাগের শারীরিক উপস্থিতির ওপর স্থাপনা করেছেন মাংসল আল্ডোঞ্জাকে আর কল্পলোকে থাকা ডালসিনিয়া নির্মাণ করেছেন মূলত বাচিক ও ছোট ছোট অভিব্যক্তি দিয়ে; অভিনয় শৈলীর এই বুদ্ধিদীপ্ত বিভাজন দুটি ভিন্ন মেরুর চরিত্রকে সমানভাবে জীবন দিয়েছে। শুধু নাট্যের প্রায় অন্তিম পর্যায়ে আল্ডোঞ্জার কষ্ট বোঝাতে তিনি একধরণের কান্না ও ভেঙ্গে পড়া হাজির করেন যা অতিমাত্রায় অভিনীত এবং শৈলীগতভাবে জীর্ণ ঠেকে। সতীশ সাউ (সত্যজিৎ মিশ্র/সাঙ্কো পাঞ্জা) বিশেষ করে সাঙ্কো হিসেবে একধরণের বিস্ময় ও ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলেছেন কিহ্যোতেকে নিয়ে তার চোখে মুখে, যা সূক্ষ্মভাবে দর্শকদের পথ দেখায় কিহ্যোতে সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গী নির্ধারণ করার ব্যাপারে। বিভ্রান্ত ও বিরক্ত আল্ডোঞ্জার প্রশ্ন, ‘কেন সাঙ্কো তার মনিবের পিছু ছাড়ে না?’ এনে দেয় এই নাট্যে সাঙ্কোর মুহূর্ত, যা সতীশ দক্ষতার সাথে নিজের করে নিয়েছেন – কিঞ্চিৎ খাদে এবং প্রায় কথা বলার ঢঙে সতীশ গেয়ে দেন সাঙ্কোর সরল স্বীকারোক্তি, তার ডনকে ভালো লাগে। নিঃশর্ত ও অপার ভালোবাসা বোঝাতে যে অল্প করলেই চলে, তা সতীশ বুঝিয়েছেন সযত্নে। অনেক চরিত্র থাকা সত্ত্বেও কিছু নাট্য হয়ে যায় একপ্রকার ওয়ান ম্যান শো; এই নাট্যটিও অনেকটাই সেরকম এবং সেই ওয়ান ম্যান সুমন মুখোপাধ্যায় (শুভময় দত্ত/ডন কিহ্যোতে)। সুমন যে শক্তিশালী ও নানা ধরণের গানে পটু সুগায়ক তা এই নাট্য প্রমাণ করল। শুভময় দত্ত রূপে তার বলিষ্ঠ হাঁটা চলা কিহ্যোতে হওয়ার সময় বদলে গিয়ে কখনো নাচের মুদ্রায় দুপায়ের ছিটকে লাফিয়ে ওঠা হয়ে যায়, আর কখনো সে চলা হয় টলোমলো, বিশেষ করে যখন বাস্তবের আঘাত আছড়ে পড়ে তার ওপর। কিহ্যোতের ভূমিকায় ঈষৎ ভাসিয়ে অথচ শান্ত দৃঢ়তার সাথে উচ্চারিত সংলাপে চরিত্রটিকে পরাবাস্তব, বাস্তবের সীমানায় রাখেন সুমন এবং অবলীলায় কিহ্যোতেকে পৌঁছে দেন দর্শকদের কাছে। এসবই দেখতে পাওয়া যায়, এসবই সত্য, কিন্তু সুমনের অভিনয়রীতি যখন মনে পড়িয়ে দেয় ২০০২ সালেরম্যান অফ লা মাঞ্চা’র ব্রডওয়ে রিভাইভ্যালে ব্রায়ান স্টোকস্ মিচেলের অভিনয়রীতি, তখন সোর্স টেক্সটের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রশ্নটা আবার উঠে যায়, এবার সমস্যাকীর্ণ হয়ে। অনুবাদের ক্ষেত্রে সোর্স টেক্সটের প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটা শুধু একটি সাধারণ্যে স্বীকৃত পন্থা নয়, কিছু ক্ষেত্রে তা নিশ্চিতভাবে অনুবাদের শক্তি, যেমন এক্ষেত্রে। কিন্তু অভিনয়ের বেলায় অন্য কোন অভিনেতার শৈলী বিশ্বস্ততার সাথে অনুসরণ করা এনে দেয় অভিনয়টাতেই একটা বড়সড় ফাঁক, যা না থাকলেই ভালো হয়। সুমন যে এই নাট্যে চমৎকার কাজ করেছেন তা অনস্বীকার্য, তবে এই কাজটি কতটা তার নিজস্ব শিল্পীসত্তার জঠরজাত, তা নিয়ে একটা অস্বস্তির কাঁটা থেকেই গেল; এই অস্বস্তি যদি কেউ এড়াতে চান তাহলে ভুলেও “ম্যান অফ লা মাঞ্চা ব্রডওয়ে রিভাইভ্যাল ব্রায়ান স্টোকস্ মিচেল” এই খোঁজটি ইন্টারনেটে করবেন না।
কার্টেন কল্, (২২.০৫.২০১৮, একাডেমি) – মঞ্চে হাজির নাটকের সাথে জড়িত সবাই। নাট্যগৃহ কাণায় কাণায় পূর্ণ। একজন দর্শকের অনুরোধে সুজন ও অনান্যরা গাইলেন তাদের নাটকের থিম সং, স্বপ্ন দেখা নিয়ে গান। যেহেতু একটা অতি প্রয়োজনীয় কাজ গানের আগে বা পরে করা হলো না, সেই কাজটা এখানে করতে হচ্ছে – গানটির একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রদান। যে গান গাওয়া হলো তার নাম, ইংরেজিতে, The Impossible Dream। প্রথমে প্রখ্যাত ইংরেজ কবি W. H. Auden (ও তার সঙ্গী Chester Kallman) শুরু করেনলা মাঞ্চা’র গানগুলি লিখতে। তারপর মূলত ডেল্ ওয়াসরম্যানের সাথে মতান্তরের কারণে Auden প্রজেক্ট থেকে সরে যান, তার জায়গায় আসেন Joe Darion। নাটকের সংলাপ থেকে শব্দ তুলে, বেছে Darionলেখেন – “To dream the impossible dream,/ To fight the unbeatable foe,/ To bear with unbearable sorrow/ To run where the brave dare not go…”; সুরারোপণ করেন Mitch Leigh এবং জন্ম নেয় The Impossible Dream। এই গানটি কিছুদিনের মধ্যেইলা মাঞ্চা’র গণ্ডি পেরিয়ে যেখানেই প্রতিবাদ, যেখানেই অন্যতর জীবনের স্বপ্ন দেখতে চাওয়া, সেখানে সেখানে পৌঁছে যায়; ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে এই গান গাওয়া হয়েছিল, মার্কিন মুলুকের চার্চেও এই গান ঢুকে পড়ার হদিশ আছে, আবার এই কয়েক বছর আগেও Occupy Wall Street’এর আন্দোলনকারীরা এই গান গেয়ে উঠেছিলেন। আশার ও স্বপ্নের বিশ্বব্যাপী anthem হয়ে যাওয়া গানটির যে অনুবাদ গাওয়া হলো তা ডন নাটকের গান ঠিকই, তবে মূল গানটির সাথে যুক্ত নামগুলো উচ্চারিত হলে ভালো হত, কারণ কার্টেন কলই সুযোগ করে দেয় ঋণ স্বীকারের। নাম উচ্চারণে চেতনার কৃপণতা ব্যথিত করে। প্রযোজনার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কাজগুলি যারা করেছেন তাদের নাম ধরে ধরে পরিচয় দেওয়া হলো, ধন্যবাদ দেওয়া হলো। আর সামনের সারিতে নতজানু বসে থাকা এক ঝাঁক নবীন অভিনেতার নাম উচ্চারণ করা হলো না – তারা থেকে গেলেন ওই ‘একদল তরুণ তরুণী’ হিসেবেই। আশা রাখি নাট্যজগতে এসে যে ক’টা Impossible Dream নবীনরা দু’চোখে ভরে রেখেছেন, তা সবটাই একদিন সাকার হবে।
পুণশ্চ – ওই ২২ তারিখের অভিনয়ের অনতিবিলম্বে এই দুসংবাদটি ছড়িয়ে পড়েযে অভিনেতা সতীশ সাউ কর্কট রোগাক্রান্ত। কাহন নাট্যে নিবেদিত প্রাণ সতীশের দ্রুত আরোগ্য আন্তরিকভাবে কামনা করে।